প্রত্যেক মানুষের জীবনে কিছু ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক অভিজ্ঞতা থাকে , কিন্তু কিছু অভিজ্ঞতা দুটির কোনটি ,তাই বলা যায় না; যা একান্তই মন্তব্য আমার। আমি যদি কোন মানুষের চরিত্র নিয়ে বলতে যাই , তাহলে আগে নিজের চরিত্র নিয়ে গবেষণা করতে হয় নিজেকে। তবে এ আলোচনাটা কাউকে কেন্দ্র করে নয়, পুরো সামগ্রিক চরিত্রের আলোচনা করা। হতে পারে সেটা সুশীল সমাজ , প্রগতিশীল , মৌলবাদ , নাস্তিক্যবাদ , যুদ্ধাপরাধ , সরকার , বিরোধীদল, কোন রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক দল , কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কিংবা বিপক্ষে ।
বাংলাদেশে ২০২০ সাল ৮ই মার্চ করোনার প্রথম রোগী সনাক্ত , লকডাউন হল ২৫ মার্চ।
করোনায় ৫৪৩/৫৪৪ দিন স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় আমরা যা পেয়েছি -
১. শিক্ষার্থীদের আচরনের ভিন্নতা। ব্যক্তিত্ববোধ এতটাই জাগ্রত হয়েছে মা, বাবা, শিক্ষক তাদের কাছে তুচ্ছ।
২.অনলাইনে শিক্ষার নামে পাপজি, ফ্রি ফায়ার, টিকটক এক কথায় মোবাইল অাসক্তি।
৩. গেমস, টিকটক, কলেজ অনলাইন থেকে গ্রুপিং।
৪. ভাইরাল হওয়ার জন্য সব ধরনের অরুচিবোধ, অসভ্য সব কর্মকান্ড নিয়ে তরুনদের অাগ্রহ।
৫. গ্রাম থেকে শহর সকল সহজ সরল মেয়েদের অতিরিক্ত পাকনামি, গ্রুপিং, অবশেষে অসভ্যদের দিয়ে ধর্ষন, পাচার।
৬. অতিরিক্ত স্বাধীনতার ফলে অল্পতেই ধের্যহীনতা।
৭. পাড়ায় পাড়ায়, গলিতে গলিতে ছেচড়া নেতা, গাজাখোর, টোকাই সৃষ্টি।
৮. নিত্যনতুন মোবাইল ও বাইকের প্রতি আসক্তি।
৯. বাল্যবিবাহ ও শিক্ষার প্রতি অরুচি সৃষ্টি।
১০. দ্বীনিশিক্ষা, ধর্মবোধ বাদ দিয়ে পশুর মত নানা আচরন, নানান চুলের কাটিং, ট্যাটু ও বেয়াদবি।
এর ফলে যতটুকু নৈতিকতার ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে এ প্রজন্ম নিয়ে জাতিকে সারা জীবন ভুগতে হবে।
করোনার বিষয়ে চীন ও আমেরিকার রাজনীতির কাছে পুরো ধরাশয়ী বিশ্ব । বর্তমান পৃথিবীর প্রতিনিধিত্বকারী দেশ হলো তিনটি আমেরিকা,চীন ও রাশিয়া ।পৃথিবীতে বড় বড় অনেক নেতা ছিল , তারা কিছু সহকারি কিংবা গোপন দল/বাহিনী রাখত, তারা তাদের ক্ষমতা ধরে রাখা , নীল নকশা বাস্তবায়ন করা সহ গোপনীয় কাজ করতে , ঠিক তেমনি এরা ও নিজেদের কাজ ও উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য কিছু দেশকে পরিপুষ্ট করে তুলছে , যাতে অন্য দেশগুলো নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে । এখানে যেমন আমেরিকা তৈরি করছে ইসরাঈলকে , চীন উত্তর কোরিয়াকে পুষছে , রাশিয়া কিছুটা ইরান ও সিরিয়াকে সার্পোট দিচ্ছে, তবে আজ বোকা মুসলিম জাতি বুজতে পারছে না , এরা প্রত্যেকেই তাদের শত্রু ।বুজতে পারছে না আজ কোন মানবাধিকার সমাজ ও রাষ্ট্র এমনকি মানবজাতিও । যে এরাই যে মৃত্যু মৃত্যু খেলা শুরু করছে , এ খেলায় নিজেরাই পড়তে যাচ্ছে । এরা অর্থনৈতিক নেতৃত্বে নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করতেই নিজেরা নিজেদের জালে পড়বে । যাতে ভুগবে ন্যায়প্রতিষ্ঠা , সত্য পথে চলা দেশগুলো শুধু তাদের নীরব ভূমিকা পালন করার জন্য, ও অন্যদেশের দাশত্ব করার জন্য । সেই দাশত্ব থেকে তুমি ,আমি ও রাষ্ট্র ইচ্ছে করলেেই দূরে থাকা সম্ভব নয় , কিন্তু সৎ , স্বচ্ছ থাকা সম্ভব ।
কিন্তু শেখ হাসিনা তার ক্ষমতার লোভে এতটাই মত্ত , সে ক্ষমতার জন্য নিজ দেশকে বিক্রি করছে ভারতের কাছে যার কিছুটা প্রমান রামপাল , ট্রানজিট , টিপাইমুখীবাধ , প্রাকৃতিক গ্যাস , সুন্দরবন , তিস্তা , সমুদ্রজয়ের নামে মিথ্যা উপাখ্যান(তালপট্টি দিয়ে দেওয়া), মেরুদন্ডহীন টিকার মিথ্যা আশ্বাসের নামে নিজ দেশের স্বার্থ হাসিল । যে দেশ তাদের আকাশ মিডিয়া গুলোতে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দিয়ে 90% মুসলিমের দেশটা নষ্ট করছে , তারা যদি আমাদের ভালোই বাসত তারা ট্রানজিটের বিনিময়ে বড় কিছু না দিক নূন্যতম মিডিয়াগুলোকে চালাতে দিত।
ভারত আমাদের 1971 সালের স্বাধীনতার সাথে অনেকগুলো বাঁধ দিয়েছে, ফলে যখন পানি দরকার তখন পাচ্ছি না , যখন পাচ্ছি তখন ঘরেও থাকতে পারছি না । নদী গুলোর পানি কমিয়ে দিয়েছে, ফলে শীতকালে পদ্মাকে নদী নয় , ছোট ছোট খাল মনে হয় ।
ভারত আমাদের 1971 সালের স্বাধীনতার সাথে অনেকগুলো বাঁধ দিয়েছে, ফলে যখন পানি দরকার তখন পাচ্ছি না , যখন পাচ্ছি তখন ঘরেও থাকতে পারছি না । নদী গুলোর পানি কমিয়ে দিয়েছে, ফলে শীতকালে পদ্মাকে নদী নয় , ছোট ছোট খাল মনে হয় ।
ভারতের ক্রিকেট খেলার প্রসংশা করি , কারন আমি বাস্তবে বিশ্বাস করি , কিন্তু আমাদের সাফল্যে তাদের কেন জ্বলে। ICC কেন টেস্ট ও একদিনের ম্যাচ বড় দলের সাথে একটু কমই রাখতে দেয় ।
সীমান্তে পাকিস্তানের একটা লাশ পরলে ভারতের ও একটা লাশ পড়ে ইদানিং নেপাল ও তাদেরকে সীমান্তের উত্তরটা ভালোভাবেই দিচ্ছে যদিও তা অন্য দেশের ইন্ধনে । আরে ভাই , তোমরা আমাদের কেন মারসো , দোষ করলে আটক তো করতে পার ? এরা আসছে ভ্যাকসিনে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে । যারা বোকা তারা বুঝবে না , এরা মূলত এসেছে চীনের সাথে প্রতিযোগিতা দিয়ে সম্পর্ক রক্ষা করতে অন্য কোন এজেন্ডা নিয়ে যা বাস্তবায়ন করার জন্য , হতে পারে ধর্ম নিরপেক্ষতা কিংবা ’র’ এজেন্টকে বাঁচাতে। ভারত তার নিজের স্বার্থ উদ্ধার করতে সবকিছু করতে পারে ।
আমার এক সহপাঠী নেভী । তার একটা গল্প নয় ,চাকরী জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলতে পারি, তিনি ডিউটিরত অবস্থায় একটা খবর এল যে , মায়ানমার নেভী বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে পড়েছে । উপরের নির্দেশনা (নেভী কতৃক) মোতাবেক তাড়া মায়ানমার নেভীদের তাড়া করতে ছিল ,তখন ওরাও ভয়ে লেজ গুটিয়ে পালাচ্ছিল । সময় যেতে না যেতে দেখা গেল ,ভারতীয় নেভী হাজির , তাদের নিরাপত্তার জন্য ।
আমি এ দেশের সন্তান, এ দেশ আমার মাতৃভূমি । মাঝে মাঝে দেশটা নিয়ে কেমন যেন চিন্তা এসে যায়। প্রথম 2009 সনে সৃজনশীল কাঠামোতে অজানা অচেনা পদ্ধতি, যা শিক্ষকরাই জানে না সেই পদ্ধতিতে গনিত সহ 6 টি বিষয়ে মাধ্যমিক বৃত্তি পরিক্ষা দিই। সরকার কাঠাল ভাঙে আমাদের দিয়ে। আবার 2012 সাল 7ই মে এস. এস. সি রেজাল্টের পর একাদশ শ্রেনিতে বরিশালের শহর কেন্দ্রীয় তিনটি কলেজে আবেদন করি , ও একটি কলেজে ভর্তি হয়, অজাপাড়া গায়ের একটি ছেলে, ২০১২ সালের জুলাই মাসে বরিশালে ক্ষাণিকের জন্য স্থায়ী হই। তবে সেটা ও কম নয় প্রায় চার বছর, চার বছরের হিসাবের খাতায় কতটুকু পেয়েছি বরিশাল থেকে , তা জানি না। তবে যাদের পেয়েছি , তাদের ভুলবার নয়। 2012 সন ঐ সেই ব্যাচ , যারােএস এস সি পরিক্ষায় সৃজনশীল, GPA 5 ও পাশ বন্যায় নির্যাতনের শিকার হয়। আবার 2014 সাল , প্রশ্ন ফাসের ব্যবসায় মেধাবিরা চাপা পড়ে HSC পরিক্ষায় । 2009 সনের মত 2014 সনে নতুন আইন করে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় দ্বিতীয় বার সুযোগ বন্ধ করে , তাও আবার ভর্তি পরিক্ষার একমাস শেষে ,যখন অন্য সকল ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের সময় শেষ। 2015 সাল দ্বিতীয় বার , মেডিক্যাল ভর্তির জন্য ভালভাবে লেখাপড়া শুরু করে আশায় বুক বেধে, সেই পরিক্ষাও ব্যাবসায় পরিনত করে রাগব বোয়ালরা। এখন আপনারাই বলুন , আর কত দেখব, শিক্ষাব্যাবস্তার করুন পরিনতি। আর 2014 সালের HSC পরিক্ষাত্রীদের ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। 2020 সনে করোনার কারনে এইচ এস সি এর মত উচ্চতর মানের পরিক্ষায় অটোপাশ ভালো কি না বলতে পারলে ওদের ভবিষ্যৎ এর জন্য এ সিদ্ধান্ত আসলেই ভিত্তিহীন।কারন আধুনিক এ যুগে পরিক্ষা একটু চেষ্টা করলেই নেয়া যায় । আপনার দেশে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে বাস , লঞ্চ, অফিস , বাজার ,হাট সব চলে । তাইলে এ উপায়ে পরীক্ষাটাও চালানো যেত ভিন্ন কোন উপায়ে । যা জাতি ধ্বংসের পায়তারা নয় তো ।
সমস্যার বিপরীত হচ্ছে সমাধান। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে নির্দিষ্ট কোন প্রধান ব্যক্তি গুষ্টি অথবা প্রতিষ্ঠান দ্বারা।
যাদের আমরা সমাজ রাষ্ট্র কিংবা কোন কার্যক্রম পরিচালনার প্রধান বলে থাকি। যারা সমস্যার সমাধান করে। কিন্তু সেই আঁতুড় ঘরেই যদি সমস্যা তৈরি করে তাহলে কিছু বলার থাকে না। এর ও সমাধান হয় । তবে সেক্ষেত্র ব্যক্তি ও কোম্পানির ক্ষেত্রে তার কর্মচারী কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তার নূন্যতম ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো এবং রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে জনগণ এর মাসুল ভোগ করেন।
#ICC_fact
#Bangladesh_politics_fact
#Private_job_fact
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks by Hasib