শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০

The things that are said / do not go

                                


Every human being has some positive or negative experiences in his life, but neither of the two experiences can be said to be so, which is my only comment. If I were to talk about a person's character, I would have to research my own character first. However, this discussion is not centered on anyone, but on the overall character. Maybe it is for or against civil society, progressive, fundamentalism, atheism, war crimes, government, opposition, any political or non-political party, any person or organization.

  The first case of corona was identified in Bangladesh on March 7, 2020. Lockdown is on March 25. The whole world is bowing to the politics of China and America about Corona. The three most representative countries in the world today are the United States, China and Russia. He is enriching some countries to achieve the objective, while other countries are playing the role of silent spectators. Here America is building Israel, China is feeding North Korea, Russia is giving some support to Iran and Syria, but today the foolish Muslim nation does not understand that they are all their enemies. No human rights society and state even mankind can understand today. They are the ones who are starting the game of death, they are going to read this game by themselves. They will fall into their own trap to establish leadership in economic leadership. So that justice suffers, the countries that are on the path of truth just to play their silent role, and to enslave other countries. It is not possible for you, me and the state to stay away from that slavery if you want, but it is possible to stay honest and transparent. But Sheikh Hasina is so intoxicated with her greed for power, she is selling her country to India for power, some of which is Rampal, Transit, Tipai Mukhibadh, Natural Gas, Sundarbans, Teesta, False anecdotes in the name of sea conquest, Achieving the interests of the country. The country that is destroying the country of 90% Muslims by spreading obscenity in their sky media. 

 

India has given us many dams since independence in 1971, so we can't get water when we need it, we can't even stay at home when we get it. The water of the rivers has decreased, so in winter the Padma looks like a small canal, not a river. I appreciate playing cricket in India, because I believe in reality, but why burn them in our success. Why does the ICC allow Tests and ODIs to keep up with the big teams? If a body of Pakistan is found on the border, then another body of India is also found. Hey brother, why do you kill us, if you are guilty, you can arrest? They are coming to give us priority in vaccines. Those who are fools will not understand that they have come to compete with China to maintain relations with any other agenda to be implemented, perhaps to save secularism or the ‘R’ agent. India can do everything to save its own interests. One of my classmates is Navy. Not a story of his, I can talk about his working life experience, while he was on duty a news came that Myanmar Navy had entered the border of Bangladesh. The Myanmar Navy had to be chased according to the above instructions (by the Navy), then they too were fleeing in fear. As time went on, the Indian Navy appeared, for their safety. (Continued ...)

শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২০

POEM: Modernity (আধুনিকতা )

 #__________________আধুনিকতা_
আধুনিকতা ,তুমি কি দয়ার নেতা বলে,
গরীবের সম্পদ হরন ।
তুমি কি , সমাজসেবী , দয়ালু নেতার
হাজারো কথার বুলি ।
 
আধুনিকতা , তুমি কি ক্ষমতার লোভে,
বিক্রিত ঈমান ।
তুমি কি , সহজ সরল খুকির বিক্রি পেপারের,
অন্যায়ভাবে লুন্ঠনকারী ।
 
আধুনিকতা , তুমি কি সহজ সরল সালামের,
বিকৃত উত্তর ।
তুমি কি , ছোট ছেলেটার সেই পবিত্র সালামের ,
মনভাংগা বিদ্রুপকার ।
 
আধুনিকতা , তুমি কি নিরাপত্তার কঠোর চাদর বলে.
হাজার ,হাজার ,ধর্ষন, হত্যা আর জুলুম ।
তুমি কি , দাতার নামে বিজ্ঞাপনদাতা সেজে,
হাজারো চাটুকার ।
 
আধুনিকতা , তুমি কি অবাধ মুখের উক্তি বলে,
মহামানবকে অপমান ।
তুমি কি, দেশের উন্নয়নের নামে ,
অবাধ দুর্নীতি ।







  
                                             __Hasib
 

Modernity, do you say the leader of mercy,
 Deprivation of wealth of the poor. 
Are you a social worker, a kind leader? 
Thousands of words. 
 
Modernity, are you greedy for power, 
Sold faith.
 What are you, simple girl selling paper, 
Unjustly plundering.
 
Modernity, are you a simple salute, 
Distorted answer. 
Are you, the little boy of that holy salutation, 
Disappointing satirist. 
 
Modernity, you say the strict sheet of security. 
Thousands, thousands, rape, murder and oppression.
 Do you, in the name of the donor, pretend to be an advertiser,
 Thousands of flatterers. 
 
Modernity, do you say free speech, 
Insult to the great man.
 Are you, in the name of development of the country,
 Unbridled corruption. 
 

বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০২০

অধনাত্বক ও অঋনাত্বক

 আমরা শূন্যে অবস্থান শব্দটি অনেক আগে থেকে জেনে এসেছি । কিন্তু  আমরা সাধারনত ধনাত্বক বলতে ভালোকে বুঝি ও ঋনাত্বক বলতে খারাপকে বুঝি  । কিন্তু শূন্যেকে না ধনাত্বক বলা যায় বা না ঋনাত্বক বলা যায় । তবে কখনো এটাকে অধনাত্বক ও অঋনাত্বক বলা যায় ।

 হাসু নামের একটি ছেলে যার চরিত্রকে গানিতীক ভাষায় কি সংজ্ঞায়িত করবো আমার জানা নাই । 


হাসুর জন্ম নব্বই দশকের শেষের দিকে , মধ্যবিত্ত কোন পরিবারে । ছোটবেলা থেকেই সহজ সরলভাবে বড় হয়ে ওঠা । তবে এ শিক্ষাটা তার মা বাবা থেকেই প্রাপ্ত , তবে এ খারাপ প্রভাবটা তাদের উপর ও কম যায় নি। হাসুর বয়স  মাত্র পাঁচ বছর । প্রতিনিয়ত  বিকাল বেলা খেলতে যায় হাসু, ঠিক তেমনি সবাই মিলে গোল্লাছুট খেলছে । গোল্লাছুট খেলার একটা নিয়ম আছে , কিছু  খেলার সাথীরা চারদিক থেকে ঘিরে রাখে , প্রতিপক্ষরা নির্দিষ্ট একটি জায়গা বা গর্তকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে ও প্রতিপক্ষকে দৌড়ের ফাঁকে এড়িয়ে চলে যায় । প্রতিপক্ষের স্পর্শ এড়িয়ে চলে গেলে গোল হয়  । হাসু এ নিয়মে খেলছে সবার চেয়ে ছোট সে , প্রতিপক্ষকে ফাঁকি দিয়ে এক এক করে সবাই চলে গেল , এবার হাসুর পালা । হাসু ও কোনভাবে অন্যপক্ষের কোন খেলোয়ারকে পাঁচবার স্পর্শ করে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে দিল দৌড় , কিন্তু কেউ তাকে স্পর্শ করল , যা নিজে ছাড়া অন্যকেউ জানে না । সবাই গোল মেনে নিল , কিন্তু হাসু মানতে নারাজ । সে সবার মাঝে এসে বলল “গোল হয় নি , সে আমাকে ছুয়েছে। তো এতে স্বপক্ষের সবাই তাকে বাদ না দিয়ে , পুরো খেলাই বাদ দিয়ে দিল । বেচারা হাসুর পক্ষে , কিংবা বিপক্ষে জায়গা আর হলো না । এভাবে থাকায় কোন সময় দলে জায়গা হত, আবার হতও না । হাসুর যখন বয়স আট বছর , তার ছোট বোনের বয়স তখন মাত্র তিন বছর । সবাই বাল্যকালে হাঁড়িপাতিল খেলে , তো বোনও খেলছে  সাথে আরো অনেকে । হাসুর বোন কোন কারনে অন্য কোন চাচাতো বোনের তৈরি মাটির খেলাঘরের দেওয়াল ভেংগে দিল, যা দেখেছিল হাসু । এটা নিয়ে বাড়িটিতে একটি ছোটোখাটো ঝগড়া শুরু হয়ে গেল । সবাইকে জিজ্ঞেস করছে , হাসুর ই বাবা । হাসুকে জিজ্ঞেস করতে করতে হাসু বলেই দিল সবার সামনে তার বোন করেছে। বেচারা হাসুর বাবা নীরব দর্শকের মত ভূমিকা পালন করে চলে গেল।
হাসু আস্তে আস্তে সহজ সরল গ্রামের মাঝে বড় হতে থাকে । এভাবেই হাসুর শব্দভান্ডার থেকে না শব্দটি হারিয়ে যায়। হাসুর প্রাথমিক শিক্ষা জীবনে কোন সহপাঠীদের মাঝে অনেকের সাথে বন্ধুত্ব হলেও একজন সহজ সরল সহপাঠীকে বন্ধুত্ব করে নেয় ।চতুর্থশেণীতে পড়াকালীন সময়ে  কোন কারনে ক্লাসে অর্ন্তকোন্দল  ‍শুরু হয় । এখানে হাসু যে কোন দলে যাবে , তা বুঝে উঠতে পারেছিলো না । তাই হাসু  নিরব ভূমিকা পালন করলেও কথার খুটিসুটি শুনতে না পেরে একাই দল নিই মাত্র চার জন নিয়ে , যদিও তা বাধ্য হয়েছিলাম কথার ঠোনাঠুনির জন্য , যদিও কোন এক প্রোগ্রামে স্বেচ্ছায় মিলে গিয়েছিলাম বন্ধুত্বের টানে , আমার বন্ধু নাঈমের জন্য ও হাসুর স্কুল জীবনের প্রথম বন্ধু । ক্লাস টু তে , একটা প্রশ্ন এসেছিল ” হোয়াট ইজ ইওর ফ্রেন্ড নেইম ? তার উত্তরে হাসু ওর নামটা লিখেছিল । এভাবেই নানা কারনে অকারনে প্রাথমিক জীবন কেটে যায়। তবে সেক্ষেত্রে কিছু কথা না বললেই নয়,হাসু দ্বিতীয় শ্রেণিতে থাকতে রাখী নামের একটা বান্ধবী প্রথম হয়েছিল , হাসু সেকেন্ড । সে হাসুর প্রথম শ্রেণীর মায়ের মত স্নেহদানকারী শিক্ষিকাকে ও জ্যাঠী বলে ডাকত । পরে শোনা গেল কিছুটা সাহায্য তার ছিল , যদি ও শিক্ষিকা হাসুকে  অনেক ভালবাসত ,  সে হাসুকে একটু আলাদাভাবে কেয়ার করত যেমন টেবিলের পাশে বসিয়ে লেখানো, তাছাড়াওে অনেক বিষয় ছিল  , হাসু ও তাকে মায়ের মত সম্মান করত ।



২য় শ্রেনিতে প্রথম হলেও ৩য় শ্রেনিতে 2য় স্থান হয়  তবে তখন ১ম হয়েছিল হাসুর এক বন্ধু , পরে শোনা গেছিল, জব্বার স্যার সাহায্য করেছিল । তখন জব্বার স্যার ৪র্থ শ্রেনিতে গনিত ক্লাস নিত , সে হাসুকে ভালবাসত । একটা মজার ঘটনা , একদিন ক্লাসে স্যারে গনিত খাতা  খুবই মনােযোগ সহকারে দেখতেছিল ,হাসু  পাশে বসে শুধু  বারবার বলতেছিল , “স্যার, এইটা হয়েছে, , ওইটা হয়েছে”। হঠ্যাৎ করে স্যার বলল, “হাসু , বেতটা নিয়ে আস”  হাসু তো খুশিতে বেত নিয়ে আসল। নিয়ে আসতেই স্যার অন্যদের বাদ দিয়ে হাসুকেই মারতে শুরু করল । বলতে লাগল “মাস্টার হয়ে গেছো ,ইম , মাস্টার হয়ে গেছো । সব গনিত হলেও  ও অন্যদের সব মার খেল, ঐ দিন বাকিরা বেচে গেল। হাসু কিন্তু মার খেয়েছিল ওর চালাকির জন্য , যা আগে করেছে বলেই , ঔ দিন করে ছিল । স্যারের মণ খারাপ থাকার কারনে ই হয়তো বেতের পিটুনি খেতে হয়েছে । যা হাসুকে  হাসুর ভুল থেকে সরিয়ে নিয়েছে ্।  এভাবেই বছর শেষে বিনুর সাথে প্রতিযোগিতা করে ১ম স্থান অর্জন করে ৫ম শ্রেনীতে উত্তীর্ন হয় হাসু।

2006 সালে ৫ম শ্রেনিতে থাকাকালীন হাসুর প্রান প্রিয় প্রধান শিক্ষিকা রেবা রাণীই শিখিয়ে ছিলেন কিভাবে চালেঞ্জ নিতে হয়, দায়িত্ব কিভাবে পালন করতে হয়। তিনি হাসুকে  ভালবেসে আদর করে তার বাড়িতে নিয়ে পড়িয়েছে , যার মাতৃত্ব , ভালবাসা ও আদর কখনই ভোলার নয় । তিনি ঐ স্কুলে আসার আগে হাসুর সহপাঠী ও সকল ছাত্ররা তার প্রচুর বিরোধী ছিল। কারন এর আগে রনজিৎ স্যার তাদের সকলকে ভালবেসে ছিলেন অনেক ,তাই তাকে কখনই মেনে নিতে পারি নি , তাছাড়া শুনেছিল তিনি খুবই রাগী । কিন্ত তিনি আসার পর দেখলাম তার রাগ আছে , যা থাকা অবশ্যই দরকার , যে কখনোই নিজের পরাজয় মেনে নিতে পারে নি , সর্বদা চ্যালেঞ্জ নিয়ে গেছেন সকলকে নিয়ে , পরবর্তী ছোট ভাইদের নিয়ে। একটা বিষয় না বললেই নয় ,তখন পি . এস সি পরিক্ষা ছিল না  সকল ছাত্রদের  মধ্যে যারা মেধাবী তারা শুধু বৃত্তি পরিক্ষা দিত । তবে সমাপণী পরিক্ষা হত , কিন্তু এতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। সেই বৃত্তি পরিক্ষা মেধাবী ছাড়া কেউ দেয়ার সাহস করত না । তিনি  ঐ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হয়ে আসার পর গ্রামের একটি স্কুল , যেখানে ৯০% শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে না,  তাদের সকলকে ঐ  পরিক্ষা দেয়ার মত চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন । তিনি এর আগে যে বিদ্যালয়ে ছিলেন , সে বিদ্যালয় , সকল থানার বিদ্যালয়ের মধ্যে সেরা হয়েছিল । তাই তার এই সাহস , নেতৃত্ব ও চ্যালেঞ্জকে অন্যরা কিভাবে নেয় , তা আমার জানা নাই , তবে হাসুর কাছে সে প্রাণপ্রিয় শিক্ষকা ।

হাসু এ দেশের সন্তান, এ দেশ আমার মাতৃভূমি ।মাঝে মাঝে দেশটা নিয়ে কেমন যেন চিন্তা এসে

যায়। ফ্রান্সে একবার অনেক ছাত্রছাত্রী ফেল করেছিল। তারাই নাকি পরবর্তীতে শাসনভারে এসেছিল আমরা এই বাংলাদেশের সেই ব্যাচ যারা প্রথম 2009 সনে সৃজনশীল কাঠামোতে অজানা অচেনা পদ্ধতি,যা শিক্ষকরাই জানে না সেই পদ্ধতিতে গনিত সহ 6টি বিষয় পরিক্ষা দিই। সরকার কাঠাল ভাঙে আমাদের দিয়ে ।2012 সন ঐ সেই ব্যাচ , যারা আবার GPA 5 ও পাশ বন্যায় নির্যাতনের শিকার হয়।আবার 2014 সাল , প্রশ্ন ফাসের ব্যাবসায়মেধাবিরা চাপা পড়ে HSC পরিক্ষায় । 2009 সনের মত  2014 সনে নতুন আইন করে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় দ্বিতীয় বার সুযোগ বন্ধ করে , তাও আবার ভর্তিপরিক্ষার একমাস শেষে ,যখন অন্য সকল ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের সময় শেষ। 2015 সাল দ্বিতীয় বার , মেডিক্যাল ভর্তির জন্য ভালভাবে লেখাপড়া শুরু করে আশায় বুক বেধে, সেই পরিক্ষাও ব্যাবসায় পরিনত করে রাগব বোয়ালরা। হআমি এক সামান্য গ্রামের ছেলে ,অনেকটা সহজ সরল মনোভাবে বড় হওয়া ।

তবে ২০১২ সনে প্রথম গ্রামান্তরি হই, ভাগ্য জিনিসটা সবসময় সদয় না হলেও ,বছরের দুটি ঈদই চমৎকারভাবে কেটে যেত, দাদি, মা ,বাবা, ফুফু, চাচা, চাচি, ফুফা, বোনদের ভালোবাসায়। বাড়ির প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজনদের ভালোবাসা এক্ষেত্রে একটু ও কম ছিল না।
কিন্তু আজ সময়টা কেমন যেন পরিবর্তন হয়ে গেছে।
সবার ভালোবাসা আছে, কিন্তু কেউই আজ পাশে নেই। যে‌ যার স্বার্থপরতা কিংবা ব্যস্ততা অথবা অহংকারী মনোভাব নিয়ে রয়েছে। তবে আমার ও অনেক ভুল থাকতে পারে। যেমন, পারিবারিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে দায়িত্বহীনতার অভাব , বা কোন কারণে করতে না পারা। নিজেকে আজ শূন্য নীড়ের পাখি মনে হয়, যে পাখি উড়ে বেড়ায় প্রশান্তির ‌জা ই়গাটুকু‌ মেলে না। মরীচিকার মত আশার ভরসা রাখলে , সে যেন‌ কোন কারণে হারিয়ে যায়। আপনজনদের বিশ্বাসহীনতা, দায়িত্বের ভরসা না রাখা,‌ কিংবা কারো সাপোর্ট না থাকা,‌ উৎসাহ ও উদ্দীপনার অভাব ইত্যাদি সকল কারন হতেই পারে। তবে এ ব্যাপারে কাউকেই দোষারোপ করব, আমি স্বীকার করি, এটা আমার অপারগতা।

রবিবার, ২ আগস্ট, ২০২০

যে কথা গুলো বলা হয়/যায় না

                                                    
প্রত্যেক মানুষের জীবনে কিছু ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক অভিজ্ঞতা থাকে , কিন্তু কিছু অভিজ্ঞতা দুটির কোনটি ,তাই বলা যায় না; যা একান্তই মন্তব্য আমার। আমি যদি কোন মানুষের চরিত্র নিয়ে বলতে যাই , তাহলে আগে নিজের চরিত্র নিয়ে গবেষণা করতে হয় নিজেকে। তবে এ আলোচনাটা কাউকে কেন্দ্র করে নয়, পুরো সামগ্রিক চরিত্রের আলোচনা করা। হতে পারে সেটা সুশীল সমাজ , প্রগতিশীল , মৌলবাদ , নাস্তিক্যবাদ , যুদ্ধাপরাধ , সরকার , বিরোধীদল, কোন  রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক দল , কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের  পক্ষে কিংবা বিপক্ষে ।


বাংলাদেশে ২০২০ সাল ৮ই মার্চ করোনার প্রথম রোগী সনাক্ত , লকডাউন হল ২৫ মার্চ। 

করোনায় ৫৪৩/৫৪৪ দিন স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় আমরা যা পেয়েছি -

১. শিক্ষার্থীদের আচরনের ভিন্নতা। ব্যক্তিত্ববোধ এতটাই জাগ্রত হয়েছে মা, বাবা, শিক্ষক তাদের কাছে তুচ্ছ।

২.অনলাইনে শিক্ষার নামে পাপজি, ফ্রি ফায়ার, টিকটক এক কথায় মোবাইল অাসক্তি।

৩. গেমস, টিকটক, কলেজ অনলাইন থেকে গ্রুপিং।

৪. ভাইরাল হওয়ার জন্য সব ধরনের অরুচিবোধ, অসভ্য সব কর্মকান্ড নিয়ে তরুনদের অাগ্রহ।

৫. গ্রাম থেকে শহর সকল সহজ সরল মেয়েদের অতিরিক্ত পাকনামি, গ্রুপিং, অবশেষে অসভ্যদের দিয়ে ধর্ষন, পাচার।

৬. অতিরিক্ত স্বাধীনতার ফলে অল্পতেই ধের্যহীনতা।

৭. পাড়ায় পাড়ায়, গলিতে গলিতে ছেচড়া নেতা, গাজাখোর, টোকাই সৃষ্টি।

৮. নিত্যনতুন মোবাইল ও বাইকের প্রতি আসক্তি।  
৯. বাল্যবিবাহ ও শিক্ষার প্রতি অরুচি সৃষ্টি।

১০. দ্বীনিশিক্ষা, ধর্মবোধ বাদ দিয়ে পশুর মত নানা আচরন, নানান চুলের কাটিং, ট্যাটু ও বেয়াদবি।

এর ফলে যতটুকু নৈতিকতার ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে এ প্রজন্ম নিয়ে জাতিকে সারা জীবন ভুগতে হবে।


করোনার বিষয়ে চীন ও আমেরিকার রাজনীতির কাছে পুরো ধরাশয়ী বিশ্ব । বর্তমান পৃথিবীর প্রতিনিধিত্বকারী দেশ হলো তিনটি আমেরিকা,চীন ও রাশিয়া ।পৃথিবীতে বড় বড় অনেক নেতা ছিল , তারা কিছু সহকারি কিংবা গোপন দল/বাহিনী রাখত, তারা তাদের ক্ষমতা ধরে রাখা , নীল নকশা বাস্তবায়ন করা  সহ গোপনীয় কাজ করতে , ঠিক তেমনি এরা ও নিজেদের কাজ ও উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য কিছু দেশকে পরিপুষ্ট করে তুলছে , যাতে অন্য দেশগুলো নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে ।   এখানে যেমন আমেরিকা তৈরি করছে ইসরাঈলকে , চীন উত্তর কোরিয়াকে  পুষছে , রাশিয়া কিছুটা ইরান ও সিরিয়াকে সার্পোট দিচ্ছে, তবে আজ বোকা মুসলিম জাতি বুজতে পারছে না , এরা প্রত্যেকেই তাদের শত্রু ।বুজতে পারছে না আজ কোন মানবাধিকার সমাজ ও রাষ্ট্র এমনকি মানবজাতিও । যে  এরাই যে মৃত্যু মৃত্যু খেলা শুরু করছে , এ খেলায় নিজেরাই পড়তে যাচ্ছে  । এরা অর্থনৈতিক নেতৃত্বে নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করতেই নিজেরা নিজেদের জালে পড়বে । যাতে  ভুগবে ন্যায়প্রতিষ্ঠা , সত্য পথে চলা দেশগুলো শুধু  তাদের নীরব ভূমিকা পালন করার জন্য, ও অন্যদেশের দাশত্ব করার জন্য । সেই দাশত্ব থেকে তুমি ,আমি ও রাষ্ট্র ইচ্ছে করলেেই দূরে থাকা সম্ভব নয় , কিন্তু সৎ , স্বচ্ছ থাকা সম্ভব ।
কিন্তু শেখ হাসিনা তার ক্ষমতার লোভে এতটাই মত্ত , সে ক্ষমতার জন্য নিজ দেশকে বিক্রি করছে ভারতের কাছে যার কিছুটা প্রমান রামপাল , ট্রানজিট , টিপাইমুখীবাধ , প্রাকৃতিক গ্যাস ,  সুন্দরবন , তিস্তা , সমুদ্রজয়ের নামে মিথ্যা উপাখ্যান(তালপট্টি দিয়ে দেওয়া),  মেরুদন্ডহীন টিকার মিথ্যা আশ্বাসের নামে নিজ দেশের স্বার্থ হাসিল । যে দেশ তাদের আকাশ মিডিয়া গুলোতে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দিয়ে 90%  মুসলিমের দেশটা নষ্ট করছে , তারা যদি আমাদের ভালোই বাসত তারা ট্রানজিটের বিনিময়ে বড় কিছু না দিক নূন্যতম মিডিয়াগুলোকে চালাতে দিত।

ভারত আমাদের 1971 সালের স্বাধীনতার সাথে অনেকগুলো বাঁধ দিয়েছে, ফলে যখন পানি দরকার তখন পাচ্ছি না , যখন পাচ্ছি তখন ঘরেও থাকতে পারছি না । নদী গুলোর পানি কমিয়ে দিয়েছে, ফলে শীতকালে পদ্মাকে নদী নয় , ছোট ছোট খাল মনে হয় ।


ভারতের ক্রিকেট খেলার প্রসংশা করি , কারন আমি বাস্তবে বিশ্বাস করি , কিন্তু আমাদের সাফল্যে তাদের কেন জ্বলে।  ICC কেন টেস্ট ও একদিনের ম্যাচ বড় দলের সাথে একটু কমই রাখতে দেয় । 
সীমান্তে পাকিস্তানের একটা লাশ পরলে ভারতের ও একটা লাশ পড়ে ইদানিং নেপাল ও তাদেরকে সীমান্তের উত্তরটা ভালোভাবেই  দিচ্ছে যদিও তা অন্য দেশের ইন্ধনে । আরে ভাই , তোমরা আমাদের কেন মারসো , দোষ করলে আটক তো করতে পার ? এরা আসছে ভ্যাকসিনে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে  । যারা বোকা তারা বুঝবে না , এরা মূলত এসেছে চীনের সাথে প্রতিযোগিতা দিয়ে সম্পর্ক রক্ষা করতে অন্য কোন এজেন্ডা নিয়ে যা বাস্তবায়ন করার জন্য  , হতে পারে ধর্ম নিরপেক্ষতা কিংবা ’র’ এজেন্টকে বাঁচাতে। ভারত তার নিজের স্বার্থ উদ্ধার করতে সবকিছু করতে পারে ।


আমার এক সহপাঠী নেভী । তার একটা গল্প নয় ,চাকরী জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলতে পারি, তিনি ডিউটিরত অবস্থায় একটা খবর এল যে , মায়ানমার নেভী বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে পড়েছে । উপরের নির্দেশনা (নেভী কতৃক) মোতাবেক তাড়া মায়ানমার নেভীদের তাড়া করতে ছিল ,তখন ওরাও ভয়ে লেজ গুটিয়ে পালাচ্ছিল । সময় যেতে না যেতে দেখা গেল ,ভারতীয় নেভী হাজির , তাদের নিরাপত্তার জন্য ।


আমি এ দেশের সন্তান, এ দেশ আমার মাতৃভূমি । মাঝে মাঝে দেশটা নিয়ে কেমন যেন চিন্তা এসে যায়। প্রথম 2009 সনে সৃজনশীল কাঠামোতে অজানা অচেনা পদ্ধতি, যা শিক্ষকরাই জানে না সেই পদ্ধতিতে গনিত সহ 6 টি বিষয়ে মাধ্যমিক বৃত্তি পরিক্ষা দিই। সরকার কাঠাল ভাঙে আমাদের দিয়ে। আবার 2012 সাল 7ই মে এস. এস. সি রেজাল্টের পর একাদশ শ্রেনিতে বরিশালের শহর কেন্দ্রীয় তিনটি কলেজে আবেদন করি , ও একটি কলেজে ভর্তি হয়, অজাপাড়া গায়ের একটি ছেলে, ২০১২ সালের জুলাই মাসে বরিশালে ক্ষাণিকের জন্য স্থায়ী হই। তবে সেটা ও কম নয় প্রায় চার বছর, চার বছরের হিসাবের খাতায় কতটুকু পেয়েছি বরিশাল থেকে , তা জানি না। তবে যাদের পেয়েছি , তাদের ভুলবার নয়। 2012 সন ঐ সেই ব্যাচ , যারােএস এস সি পরিক্ষায় সৃজনশীল, GPA 5 ও পাশ বন্যায় নির্যাতনের শিকার হয়। আবার 2014 সাল , প্রশ্ন ফাসের ব্যবসায় মেধাবিরা চাপা পড়ে HSC পরিক্ষায় । 2009 সনের মত 2014 সনে নতুন আইন করে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় দ্বিতীয় বার সুযোগ বন্ধ করে , তাও আবার ভর্তি পরিক্ষার একমাস শেষে ,যখন অন্য সকল ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের সময় শেষ। 2015 সাল দ্বিতীয় বার , মেডিক্যাল ভর্তির জন্য ভালভাবে লেখাপড়া শুরু করে আশায় বুক বেধে, সেই পরিক্ষাও ব্যাবসায় পরিনত করে রাগব বোয়ালরা। এখন আপনারাই বলুন , আর কত দেখব, শিক্ষাব্যাবস্তার করুন পরিনতি। আর 2014 সালের HSC পরিক্ষাত্রীদের ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। 2020 সনে করোনার কারনে এইচ এস সি এর মত উচ্চতর মানের পরিক্ষায় অটোপাশ ভালো কি না বলতে পারলে ওদের ভবিষ্যৎ এর জন্য এ সিদ্ধান্ত আসলেই ভিত্তিহীন।কারন আধুনিক এ যুগে পরিক্ষা একটু চেষ্টা করলেই নেয়া যায় । আপনার দেশে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে বাস , লঞ্চ, অফিস , বাজার ,হাট সব চলে । তাইলে এ উপায়ে পরীক্ষাটাও চালানো যেত ভিন্ন কোন উপায়ে । যা জাতি ধ্বংসের পায়তারা নয় তো ।

সমস্যার বিপরীত হচ্ছে সমাধান। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে নির্দিষ্ট কোন প্রধান ব্যক্তি গুষ্টি অথবা প্রতিষ্ঠান দ্বারা।
যাদের আমরা সমাজ রাষ্ট্র কিংবা কোন কার্যক্রম পরিচালনার প্রধান বলে থাকি। যারা সমস্যার সমাধান করে। কিন্তু সেই আঁতুড় ঘরেই যদি সমস্যা তৈরি করে তাহলে কিছু বলার থাকে না। এর ও সমাধান হয় । তবে সেক্ষেত্র ব্যক্তি ও কোম্পানির ক্ষেত্রে তার কর্মচারী কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তার নূন্যতম ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো এবং রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে জনগণ এর মাসুল ভোগ করেন। 

#ICC_fact 
#Bangladesh_politics_fact
#Private_job_fact



বুধবার, ১৫ মে, ২০১৯

The Prasite dream (পরবাস্তুময় স্বপ্ন )

যাত্রাটা শুরু করেছিলাম চারজনে , 

2017 সালের কোন এক দিনে মিজান স্যার এসে বলল, স্যার একটি প্রতিষ্ঠান দেয়ার আমার খুবই ইচ্ছা , আসেন আমরা মিলে একটা স্বপ্ন বুনি । আমি তখনই কিছু বললাম না , স্যার দেখি । কিছু দিন পেরুলে আমি ও আমার মিষ্টি বড় আপু জীবনের স্বপ্ন পূরনের লক্ষ্যে কিছু পরিকল্পনার তালিকা থেকে মিজান স্যারের পরিকল্পনাটাও মাথায় আসে। অনেকগুলো পরিকল্পনা থেকে তার পরিকল্পনাটাও বেছে নেয়া হয় , যা তখন সবাই সাদরে গ্রহন করে। সবার গনতান্ত্রিক মনোভাব নিয়ে কাজ করার উদ্দেশ্যে প্র্রত্যেকটি কাজ সবাই মিলে নেয়া হত যেমন নাম নির্বাচন , তবে এখানে মিজানের অভিজ্ঞতা , হাসুর সুপরিচিতা , তৃনার বোঝানোর ক্ষমতা ও বাড়ি, সুমনের সরলতা । আমরা চারজন ও আমাদের নির্ধারিত অভিবাবক বাড়িওয়ালার স্বমন্বয়ে বাড়িভাড়া কিছুটা বাড়িয়ে নির্ধারন করে , জামানত জমার তারিখ নির্ধারন করে । হাসু , সুমন কষ্ট করে ও তৃৃনা বাড়ির অজুহাতে   টাকা জমা দিলেও  মিজান কোন কারনে ফোন না ধরে হারিয়ে যায় । হাসুর পরাজয় মানার অভ্যাসটা নেই, তাই মিজানকে বাদ দিয়ে তিন জনকে নিয়েই এগিয়ে চলল। অনেক চড়াই উৎড়াই পেড়িয়ে চলতে হয়। এক্ষেত্রে কিছু ঘটনা না বললেই নয়,

বুধবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৮

হারোনো আত্নীয়



 রাসেলের মা চাচী






আজ সকালে একটা ফোন আসল, খুব তড়িঘড়ি করে আব্বুর ফোন টা রিসিভ করলাম , শুনলাম আমার এক চাচী মারা গেছেন, যার হাতে ছোটবেলা ভাত খাওয়া , গেলেই জিঞ্জেগেসিত সেই পুরোনো উক্তিটি আজ ও মনে পড়ে, তা যে ন এখন ও শুনতে পাই , রুবেল কেমন আছো, বাবা। তোর মা বাবা ?
আমার সাথে তার শেষ উক্তি টি ছিল, বাবা, রক্ত দিয়েও বাচাইতে পারলি না , ? আমি তার পশ্নের কোন জবাব দিতে পারি নি, শুধু বলেছিলাম , কাকী কিছুই হবে না, । আজ সে চলে গেল , হে ,আল্লাহ আমাকে ক্ষমা কর্ , তার উপর যে টুকু দায়িত্ব ছিল , তাও পালন করতে পারলাম না ? তাকে মাফ করে দিয়ে বেহেশত দান কর ? যারা ইয়াতীম হয়েছে, তারা যেন তোমার পথে আজীবন চলতে পারে সেই তৌফিক দান কর, আমীন।

শুক্রবার, ২৩ মার্চ, ২০১৮

Islamphobia

একজন প্রিয় মানুষকে বয়কট করলাম:
আল্লাহ তায়লার পরিস্কার ফরজ বিধানকে কটাক্ষ করাই দীর্ঘদিন যাবৎ তোমার উপার তৈরী হওয়া ভালোবাসা বিষর্জন দিলাম।
তবে দাওয়াত রইলো হে আল্লাহর বান্দা ফিরে আসো দিনের পথে,,
পর্দার বিষয় ইসলাম কি বলে এবং অবমাননা কারীর পরিনাম নিম্মে আলোচনা করা হলো:

وَقُل لِّلْمُؤْمِنٰتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصٰرِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلٰى جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ ءَابَآئِهِنَّ أَوْ ءَابَآءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَآئِهِنَّ أَوْ أَبْنَآءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوٰنِهِنَّ أَوْ بَنِىٓ إِخْوٰنِهِنَّ أَوْ بَنِىٓ أَخَوٰتِهِنَّ أَوْ نِسَآئِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمٰنُهُنَّ أَوِ التّٰبِعِينَ غَيْرِ أُولِى الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلٰى عَوْرٰتِ النِّسَآءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِن زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوٓا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
আর মুমিন নারীদেরকে বল, যেন তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাই এর ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।
সুরা নুর ৩১
﴿وَلَئِن سَأَلۡتَهُمۡ لَيَقُولُنَّ إِنَّمَا كُنَّا نَخُوضُ وَنَلۡعَبُۚ قُلۡ أَبِٱللَّهِ وَءَايَٰتِهِۦ وَرَسُولِهِۦ كُنتُمۡ تَسۡتَهۡزِءُونَ ٦٥﴾ [التوبة ৬৫]
‘আর যদি তুমি তাদেরকে প্রশ্ন কর, অবশ্যই তারা বলবে, ‘আমরা আলাপচারিতা ও খেল-তামাশা করছিলাম। বল, ‘আল্লাহ, তাঁর আয়াতসমূহ ও তাঁর রাসূলের সাথে তোমরা বিদ্রূপ করছিলে’ ? {সূরা আত-তাওবা, আয়াত : ৬৫}
﴿ يَحۡلِفُونَ بِٱللَّهِ مَا قَالُواْ وَلَقَدۡ قَالُواْ كَلِمَةَ ٱلۡكُفۡرِ وَكَفَرُواْ بَعۡدَ إِسۡلَٰمِهِمۡ وَهَمُّواْ بِمَا لَمۡ يَنَالُواْۚ ﴾
‘তারা আল্লাহর কসম করে যে, তারা (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীদের জড়িয়ে ব্যঙ্গাত্মক কিছু) বলেনি, অথচ তারা কুফরী বাক্য বলেছে এবং ইসলাম গ্রহণের পর কুফরী করেছে। আর মনস্থ করেছে এমন কিছুর যা তারা পায়নি।’ {সূরা আত-তাওবা, আয়াত : ৭৪}
« إِنَّ الْعَبْدَ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مَا يَتَبَيَّنُ مَا فِيهَا يَهْوِى بِهَا فِى النَّارِ أَبْعَدَ مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ ».
‘নিশ্চয় বান্দা অনেক সময় এমন বাক্য উচ্চারণ করে যার অন্তর্নিহিত অর্থ নিয়ে ভেবে দেখা হয় না। অথচ তা তাকে জাহান্নামের এত নিচে নিক্ষেপ করে যার দূরত্ব পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝের দূরত্ব থেকেও বেশি।’ [বুখারী : ৬৪৭৭; মুসলিম : ৭৬৭৩]
﴿ وَقَدۡ نَزَّلَ عَلَيۡكُمۡ فِي ٱلۡكِتَٰبِ أَنۡ إِذَا سَمِعۡتُمۡ ءَايَٰتِ ٱللَّهِ يُكۡفَرُ بِهَا وَيُسۡتَهۡزَأُ بِهَا فَلَا تَقۡعُدُواْ مَعَهُمۡ حَتَّىٰ يَخُوضُواْ فِي حَدِيثٍ غَيۡرِهِۦٓ إِنَّكُمۡ إِذٗا مِّثۡلُهُمۡۗ إِنَّ ٱللَّهَ جَامِعُ ٱلۡمُنَٰفِقِينَ وَٱلۡكَٰفِرِينَ فِي جَهَنَّمَ جَمِيعًا ١٤٠ ﴾ [النساء : ١٤٠]
‘আর তিনি তো কিতাবে তোমাদের প্রতি নাযিল করেছেন যে, যখন তোমরা শুনবে আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করা হচ্ছে এবং সেগুলো নিয়ে উপহাস করা হচ্ছে, তাহলে তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা অন্য কথায় নিবিষ্ট হয়, তা না হলে তোমরাও তাদের মত হয়ে যাবে। নিশ্চয় আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদের সকলকে জাহান্নামে একত্রকারী।’ {সূরা আন-নিসা, আয়াত : ১৪০}

The Vicious circle of Developing country AND Middle class Family

[বি. দ্র : প্রবন্ধটি চলমান, উক্ত প্রবন্ধটিকে পরবর্তীতে সাজিয়ে আরও সাবলীল করা এবং আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সাথে সংযুক্ত করা হবে] Lives, j...